বৃহস্পতিবার, ১১ নভেম্বর, ২০১০

মন খারাপের গান

মন খারাপের গান/ সুক্ষ অপমান
সুপ্ত অভিমান/ বিমূর্ত এক ছবি

বিষন্ন দু'চোখ/ সব হারানোর শোক
পালিয়ে যাওয়ার ঝোঁক/ সমান্তরাল সবই... ।।


যদিও চোখে জল/ ঠোটের ভাঁজে হাসি
এড়িয়ে যাবার ছল/ বললে, ভালোবাসি...

অনেকটা পথ এসে/ তবেই হলো বোঝা
অনেক ভালোবেসে/ নিজেই নিজের বোঝা!


পাঁজরে দাঁড় টানে/ তোমার ঘণশ্বাস
অন্তরে সবখানে/ তীব্র হাহুতাশ

আমার ভাঙ্গা মন/ তোমার আশ্রয় তবু
তোমার হাসি-গান/ স্বপ্ন আমার নয়... ।।



[প্রায় তিন বছর আগে লেখা একটা লিরিক এটা। জুনায়েদ-এর নতুন কেনা কম্পিউটারে নিজের 'দূর্ধর্ষ' টাইপিং স্পিড-এর বড়াই করতে গিয়ে এটা লিখেছিলাম, কোনোকিছু না ভেবেই! আমার কেবল ঝোঁক ছিল যেকোন মূল্যে ছন্দ মেলানোর। অনেক পরে এই লেখাটার মর্ম বুঝেছিলাম, যখন শুভ (Sarabar Kumar Chanda) এই লিরিকটায় মন খারাপ করিয়ে দেয়ার মতো একটা সুর বসিয়ে দিল... শুভকে একটা গান দিতে গিয়েও দিতে পারিনি বোরহান আহমেদ বৃহান-এর প্রতারণায়। এই লিরিকটা আজীবন তোলা থাকবে শুভর জন্য।]

কবি আবার মানুষ ছিলেন কবে?

কবি আবার মানুষ ছিলেন কবে?
কবি হলেন, সৃজন করেন যিনি
ভাঙ্গাগড়ার ছান্দসিক উদ্ভবে
সদাই করেন ভাবের বিকিকিনি

সবাই যখন মানুষ হবার তরে
নামতা গুনে, শিখছে ব্যাকরণ
কবি তখন অংক খাতা ভরে
কী জানি সব লিখছে অকারণ

কবিরা তাই অংকে যেমন কাঁচা
হাতের লেখাও বেজায় আঁকাবাঁকা
বানান করে নিয়ম মতো বাঁচা?
তারচে’ ভালো থাকুক পকেট ফাঁকা

তবুও কবি দিব্য-মায়ায় প’ড়ে
ঘরদেয়ালেই সাজান নিজের ছাদ
সুখের লোভে কাব্যতীর্থ ছেড়ে
নিজের জন্য নিজেই গড়েন ফাঁদ!

অধিকন্তু ফান্দিয়া ভাই কত
ফাঁদ পেতেছে নানান প্রলভনে
তারা তো সব বিদ্যাপতি যত
না-মানুষ এই কবিরে কে গোনে?

মূর্খ কবির জন্য এ দেশ নয়
এই সমাজে হিসেবটুকুই ঠিক
অংকে কাঁচা হলেই বিপর্যয়
কবি, তুমি হও তো মানবিক!