রবিবার, ৫ জুলাই, ২০০৯

মেঘনাদ বধ-এর নোট: Drunk Words কিংবা মাতলামী

আমার বড়ভাই সম্প্রতি মেঘনাদ বধ উপনামে কাজ করছেন! কাজ করতে উপনাম, ছদ্মনাম এসব লাগে বলে জানতাম না। তবে তবে আমার ভাইয়ের ব্যাপার-স্যাপার একটু আলাদা। সেটা ডিটেইল না বললেও চলে...। যাই হোক, উপনামে সে যে কাজগুলো করে, তার মধ্যে আছে অ্যানিমেশন, স্পেশাল এফেক্টস এইসব জটিল কিংবা জটিল নয় এমন সব কাজ। ইদানিং সে উপনাম কিংবা ছদ্মনাম নেয়াটাকে স্বার্থক করতেই কিনা কে জানে, লেখালেখি শুরু করেছে। তার হাতের লেখা ভালো না, হাতের কাছে খাতা-কলমও থাকেনা, সুতরাং ক্যানভাস হিসেবে সে বেছে নিয়েছে ফেসবুক-এর নোট রাইটিং অপশনকে। আমার পড়ে মনে হলো, এই লেখাগুলো আমার ব্লগ-এর পাঠকদেরও পড়ানো যায়। তাই লিংক না দিয়ে সরাসরি কাট-পেস্ট করে দিলাম। বলে রাখি, ভালো লাগলে কৃতীত্বে ভাগ বসাবো অবশ্যই, তবে ভালো না লাগলে দায়-দায়িত্ব পুরোটাই 'মেঘনাদ বধ'-এর!

1.anybody likes to join me? see, what i have done with this place. smashed by bolts from that famous glass. mermaids swimming, showing sex. ray traced twice, thrice. water flows. wind blows. everything is alright. just those little toy houses. happy goodies. pierced. as if fornicated. or raped? i'm gone too far. i'm born too frozen. and frozen. and frozen.

২.বাম দিকে উপরে কোনায় কি আছে? জানালা? দেয়ালঘড়ি? না ছবি? না জিবরাঈল ওহী নিয়ে? আমি আছি পিছনদিকে। ঝুলছি। লটকে আছি। ফ্যানের সংগে। আমাকে ভুলে যাবেন না। সত্কারটাতো করবেন অন্তত!

৩.পিছনে ইঁটের ভাটা। তবে অনেক পিছনে। মাঝখানে অনেক জল গড়িয়েছে। এই খরায় এই জোড়াতালিতে সন্ধ্যাতারায় চিমনীর ধোঁয়ায় অস্পষ্ট পৃথিবী। অনেক দূরে ঊলুধ্বনি। এগিয়ে আসছে- ধীর গতিতে নয়, ঝড়ের বেগেও নয়। হাঁসফাঁস করতে করতে। হত্যা করবে। হাতে সুইজারল্যান্ডের ছুরি। ভোঁতা, কিন্তু বিদ্যুত চমকানিতে আবারো সেই চিমনী চঞ্চল। এখনও পিছনে।

৪."কয়েকজন সমস্বরে চিত্কার দিলো: তালি দিন। তালুতে মুখ ব্যাদান শুঁয়োপোকা। কাছেই কোলাব্যাঙগণ ডেকে উঠলেন। ভাটার ইঁটের চিপায়, নলখাগড়ার পর-জীবনের রাত তিনটায়: গত নির্বাচনের এজেন্ডায় থাপ্পড় মারার কথা ছিলো। সাইকেলের চেইন পড়ে গিয়েছিলো বলে।" --পৃথিবী কি এতটাই রোমান্টিক?

৫.অবশেষে ঘুম ভাঙল। একটি নতুন মার্লবরো, তারপর পুরোনো একটি ট্যাংক। এক বছর যাবত চাকা ঘুরানোর চেষ্টা করছিলাম। মাত্র গতকাল আবিস্কার করলাম ট্যাংকের চাকা থাকে না, থাকে চেইন। পঞ্চাশ হাজার টাকা আঁটকে আছে। আর এক জনের পাঁচ লাখ। এখন ভাবছি, চেইন ঘুর্ণিতে চাকা ঘুরাবো নাকি চক্রঘুর্ণিতে চেইন । ট্যাংক বড়ো জটিল বিষয়। তবে পঞ্চাশ হাজারো কম নয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন